ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিফিনের বিস্কুট নিয়ে পালানোর সময় ধরা খেলেন প্রধান শিক্ষক

লালমনিরহাটের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১০০ প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ওই বিস্কুটগুলো দারিদ্রপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং (প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের) এর জন্য বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এদিন দুপুরে মো. সহিদুল ইসলামকে আটকের পর বাউরা ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান মানিকের উপস্থিতিতে বিস্কুটসহ তার ছবি তোলা হয়। পরে সেই ছবিগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. ঈমান ফারুক (৫০) বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রায়ই কার্টুন ভর্তি বিস্কুট স্কুল থেকে কৌশলে নিয়ে যান। আমরা শনিবার একব্যাগ বিস্কুটসহ তাকে আটক করি।

রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মো. রেজাউল করিম সেলিম বলেন, সহিদুল ইসলামের মাঝে মধ্যে স্কুল থেকে বিস্কুট নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।

অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক মো. সহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৌশলে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার ব্যাগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। এর উপরে আমি ছেঁড়া-ফাঁটা বিস্কুটের প্যাকেটগুলো উপজেলা বিস্কুট অফিসে ফেরত দেয়ার জন্য নিয়েছিলাম।

পাটগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মো. আবুল হোসেন বলেন, এই বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডেইলি বাংলাদেশ/জেডআর

Tag :

সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমানের পদোন্নতি জনিত বিদায় সংবর্ধনা

টিফিনের বিস্কুট নিয়ে পালানোর সময় ধরা খেলেন প্রধান শিক্ষক

Update Time : ০৮:০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯

লালমনিরহাটের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১০০ প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ওই বিস্কুটগুলো দারিদ্রপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং (প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের) এর জন্য বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এদিন দুপুরে মো. সহিদুল ইসলামকে আটকের পর বাউরা ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান মানিকের উপস্থিতিতে বিস্কুটসহ তার ছবি তোলা হয়। পরে সেই ছবিগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. ঈমান ফারুক (৫০) বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রায়ই কার্টুন ভর্তি বিস্কুট স্কুল থেকে কৌশলে নিয়ে যান। আমরা শনিবার একব্যাগ বিস্কুটসহ তাকে আটক করি।

রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মো. রেজাউল করিম সেলিম বলেন, সহিদুল ইসলামের মাঝে মধ্যে স্কুল থেকে বিস্কুট নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।

অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক মো. সহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৌশলে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার ব্যাগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। এর উপরে আমি ছেঁড়া-ফাঁটা বিস্কুটের প্যাকেটগুলো উপজেলা বিস্কুট অফিসে ফেরত দেয়ার জন্য নিয়েছিলাম।

পাটগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মো. আবুল হোসেন বলেন, এই বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডেইলি বাংলাদেশ/জেডআর