ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নান্দাইলে খালের ওপর শুধু দাঁড়িয়েই আছে…

Mijan Bangala প্রতিবেদন:
নান্দাইলের গাংগাইল ইউনিয়নের একটি সেতুর এক পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রায় ২৭ লাখ টাকার সেতু কোনো কাজে আসছে না।

সরজমিন দেখা যায়, অত্র ইউনিয়নের যোগের হাওড় এলাকায় ফুলেরশ্বরী খালের ওপর বিচ্ছিন্ন অবস্থায়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে ৩৪ ফুটের দীর্ঘ একটি সেতু। সেতুটির দু’পাশে রয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। সেতুটির পশ্চিম পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অপরদিকে পূর্বপাশে সংযোগ সড়কটি রয়েছে ভাঙ্গাচুড়া অবস্থায়। দীর্ঘদিন যাবত মাটি না ফেলায় রাস্তাটি সেতু থেকে নিচু হওয়ায় বর্ষার পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে পূর্বগ্রামের মানুষ, পশ্চিম গ্রামে যেতে ৩ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। আবার শুকনো মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠের মধ্য থেকে বোরো ধান বা অন্যান্য ফসল ঘরে তুলতেও কষ্ট হয় কৃষকদের।

বিস্তীর্ণ মাঠের দু’পাশে গয়েশপুর, কান্দিউড়া, সুন্দাইল ও পূর্বদরিল্যাসহ ৩-৪টি গ্রামের কৃষকরা ওই যোগের হাওড় থেকে বোরো ও আউশ মৌসুমের ফসল ঘরে তুলতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই সেতু নির্মাণ কাজে বাংলাদেশ সরকারের ২৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪৩ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় জনগণ সেতুর সংযোগ সড়কটি সংযোজনসহ এই শুকনো মৌসুমে মাটি কেটে রাস্তাটি উঁচু করার দাবি জানান।

গাংগাইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আশরাফুজ্জামান খোকন বলেন, বিষয়টি জাতীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন এমপিকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের

নান্দাইলে খালের ওপর শুধু দাঁড়িয়েই আছে…

Update Time : ১১:৩০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২০

Mijan Bangala প্রতিবেদন:
নান্দাইলের গাংগাইল ইউনিয়নের একটি সেতুর এক পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রায় ২৭ লাখ টাকার সেতু কোনো কাজে আসছে না।

সরজমিন দেখা যায়, অত্র ইউনিয়নের যোগের হাওড় এলাকায় ফুলেরশ্বরী খালের ওপর বিচ্ছিন্ন অবস্থায়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে ৩৪ ফুটের দীর্ঘ একটি সেতু। সেতুটির দু’পাশে রয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। সেতুটির পশ্চিম পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অপরদিকে পূর্বপাশে সংযোগ সড়কটি রয়েছে ভাঙ্গাচুড়া অবস্থায়। দীর্ঘদিন যাবত মাটি না ফেলায় রাস্তাটি সেতু থেকে নিচু হওয়ায় বর্ষার পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে পূর্বগ্রামের মানুষ, পশ্চিম গ্রামে যেতে ৩ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। আবার শুকনো মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠের মধ্য থেকে বোরো ধান বা অন্যান্য ফসল ঘরে তুলতেও কষ্ট হয় কৃষকদের।

বিস্তীর্ণ মাঠের দু’পাশে গয়েশপুর, কান্দিউড়া, সুন্দাইল ও পূর্বদরিল্যাসহ ৩-৪টি গ্রামের কৃষকরা ওই যোগের হাওড় থেকে বোরো ও আউশ মৌসুমের ফসল ঘরে তুলতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই সেতু নির্মাণ কাজে বাংলাদেশ সরকারের ২৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪৩ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় জনগণ সেতুর সংযোগ সড়কটি সংযোজনসহ এই শুকনো মৌসুমে মাটি কেটে রাস্তাটি উঁচু করার দাবি জানান।

গাংগাইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আশরাফুজ্জামান খোকন বলেন, বিষয়টি জাতীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন এমপিকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।