আড়াইহাজারে পূর্ব শত্রুতার জেরে নারীকে পিটিয়ে জখম

আড়াইহাজারে পূর্ব শত্রুতার জেরে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গালমন্দসহ এক নারীকে এলোপাতারি মারপিট ও শ্লীলতাহানি করে সন্ত্রাসীরা। গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকাল অনুমানিক ৫:৩০টার সময় বৃষ্টির পানি পড়ার তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হাসনারা বেগম (৪০) কে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মারপিট করে একদল সন্ত্রাসীরা। পরে আহত নারীকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ছানাউল্লাহর স্ত্রী হাসনারা বেগম পূর্ব বিরােধের জের ধরে প্রায়ই হাসনারা বেগমের বাড়ীর তুচ্ছ বিষয় নিয়া গালমন্দসহ মারপিট করত। গত বুধবার বৃষ্টির পানি পড়ার তুচ্ছ বিষয় নিয়া আসাদ মাষ্টারের স্ত্রী আকলিমা বেগম (৩০) ইচ্ছাকৃত ভাবে ঝগড়া বাধাইয়া হাসনারা বেগম (৪০) কে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। হাসনারা বেগম প্রতিউত্তর করিলে অপরাপর বিবাদীগণ পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া হাতে দেশীয় লাঠিশােঠা ও লােহার রড ইত্যাদি সজ্জিত আমার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে হাসনারা বেগমকে এলােপাথারি কিলঘুষি মারিয়া নীলাফুলা জখম করে। বিবাদীগণের মারপিটের তােপে মাটিতে লুটিয়ে পড়িলে মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে আসাদ মাষ্টার লােহার রড দ্বারা উপর্যুপরি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমসহ মুখে আঘাত করিয়া উভয় ঠোঁটের উপরে ও নীচে গুরুতর ক্ষত কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আকলিমা বেগম বুকেপিঠে ও তলপেটে এলােপাথারি কিলঘুষি ও লাথি মারিয়া নীলাফুলা জখমসহ গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন অনুমান মূল্য ৩৫,০০০/(পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা নিয়া নেয় এবং শরীরের কাপড় টানিয়া ছিড়িয়া শ্লীলতাহানি করে। হাসনারা বেগমের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লােকজন এগিয়ে আসে। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয় হাসনারা বেগমকে।

হাসনারা বেগমের ছেলে মোহাস প্রধান জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ আমার মাকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় লাঠিশােঠা ও লােহার রড ইত্যাদি সজ্জিত আমার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে সস্ত্রাসীরা। আমার মাকে এলােপাথারি কিলঘুষি মেরে জখম করে। ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন অনুমান মূল্য ৩৫,০০০/(পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা নিয়া নেয় এবং শরীরের কাপড় টানিয়া ছিড়িয়া শ্লীলতাহানি করে। আমার মায়ের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লােকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ ভবিষ্যতে আমাদেরকে জানমালের ক্ষতিসহ আমার মাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। আমার চাচাতাে ভাই মানসুর (৩০) ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার মাকে গুরুতর অহত রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া ভর্তি করায়। আমি ঘটনার বিষয়ে জানিতে পেরে হাসপাতালে আসি। ঘটনার বিষয়ে আমার মায়ের মুখ হইতে বিস্তারিত শুনিয়া স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয় স্বজনের সাথে পরামর্শক্রমে অভিযােগ করি এবং এর সঠিক বিচার চাই ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!