ভোলায় এক নারীর বিরুদ্ধে একাধিক বিবাহের অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সালেহ্ আহমেদ মাষ্টারের মেয়ে কুমিল্লায় প্রাইভেট ক্লিনিকে কর্মরত আসমা (ঊর্মি) নামে এক নারী’র বিরুদ্ধে একাদিক বিবাহ ও দেনমোহর এর নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ৪র্থ স্বামীর পরিবার।গতকাল শনিবার বিকালে ইলিশা ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৪র্থ স্বামীর বাবা মোঃ ইব্রাহীম খলিল ভোলার সংবাদ কর্মীদের লিখিত বক্তব্য জানান,আমার ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত আছেন, আমার ছেলের সাথে আসমা (উর্মি) নামে এক নারীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পরিচয় হয় এক পর্যায়ে আমার ছেলের সাথে আসমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। এই পর্যায়ে আসমা তার কর্মস্থল কুমিল্লায় আমার ছেলে কে যেতে বলেন দেখা করার জন্য এবং আসমার দুই মেয়ে রয়েছে এবং বড় মেয়ে ছাদিয়া ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী।সে বলে তুমি আমার ছোট ভাইয়ের মত একবার এসে দেখা করো যেহেতু আমরা একই থানার লোক, প্রতারক আসমার এই ভদ্রতার আচরণে আমার ছেলে ইসমাইল তার সাথে দেখা করতে গেলে আসমা পূর্ব থেকে স্থানীয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমার ছেলে কে একদিন আটকিয়ে নির্যাতন করে তার মোবাইল ও আইডিসহ সব হাতিয়ে নিয়ে ৬ লক্ষ টাকা মোহরানা করে জোর পূর্বক বিবাহ পরানো হয়। এর পর আমার ছেলে ইসমাইলের কাছ থেকে এই দেনমোহরের টাকা দাবী করে না দিলে আমাদের পরিবারের সবাই কে মিথ্যা মামলা দায়ের করবেন। এমতাবস্থায় আমার ছেলে তাকে গত ২৬ অক্টোবর ২০১৮ তালাক প্রদান করেন। সাংবাদিকের তথ্য অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে কে এই আসমা ( উর্মি)? এদিকে আসমার এমন প্রতারণার খবর পেয়ে অনুসন্ধানে নামেন ভোলার একঝাঁক সংবাদকর্মীরা আর তাদের অনুসন্ধানেই বের হয়ে আসে আসমার আমলনামা, আসমার জীবনে প্রথম বিবাহ হয় ধনিয়া ৬নং ওয়ার্ডের ইদ্রিস থানাদার এর ছেলে লিটনের সাথে লিটনের সংসারে ছাদিয়া নামের এক কন্যা সন্তানের মা হয় আসমা কিন্তু আসমার চরিত্র যখন অচরিত্রে পরিনত হয় তখন আর কি করার? বিচ্ছেদ হয়ে গেলো লিটনের সুখের সংসার আবার সঙ্গী করেন দ্বিতীয় ভোলা পৌরসভার অফিসার পাড়ার নিজাম (লিটন) নামে এক যুবক কে কিন্তু সেখান থেকেও বিচ্ছেদ হয় আসমার,তৃতীয় স্বামী হিসেবে গ্রহন করেন তজুমউদ্দিন উপজেলার চাদঁপুরের ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের খোরশেদ আলম এর পূত্র জুয়েল এর সাথে সেখানে ও বিধিরাম হয়ে যায় বিচ্ছেদ আদায় করে মহোরানার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা এই ভাবে প্রতারণার ঝাঁলে

এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় ভোলা সদর উপজেলা ২নং ইলিশা ৫নং ওয়ার্ডের মসজিদের খতিব ইব্রাহীম খলিলের বড় ছেলে পুলিশ সদস্য ইসমাইলের সাথে সহজ সরল ইসমাইল বড় বোন হিসেবে বুঝতেন আসমা কে কিন্তু মায়ের বয়সী আসমার ভদ্রতার আড়ালে যে লুকিয়ে আসে দেশের অন্যতম ক্রাইমের ছায়া কে জানতো এমন? এদিকে আসমার সাবেক স্বামী লিটন জানান,আসমা শুধু আমাকে নয় এই ভাবে শত শত যুবকের জীবন ধ্বংস করেছে, তবে আসমার পিছনে রয়েছে একটি প্রতারক চক্র যারা আসমার এই প্রতারণার নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কর্মতারা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান আসমার সাবেক দ্বিতীয় স্বামী লিটন। আসমার বাবা ছালে আহমেদ মাষ্টার জানান,এই বিষয়ে প্রত্রিকায় নিউজ না করার অনুরোধ জানান। অভিযুক্ত প্রতারক আসমা জানান,আমি সহজ সরল লোক আমার সব স্বামীদের চরিত্র খারাপ তাই সেগুলো তালাক দিয়েছি।এদিকে স্থানীয়রা জানান, আসমা খারাপ চরিত্রের মেয়ে তার কাজই হচ্ছে মানুষ কে ফাদেঁ ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া আর সেই ফাদঁটি হচ্ছে বিবাহ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!