রিফাত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ

 

নিজস্ব রিপোর্টার

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যাকারীদের গ্রপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে, আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

এদিকে, রিফাত হত্যার ঘটনায় হাইকোর্ট ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এ মামলার সবশেষ তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্টে বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

বরগুনার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করতে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ সময়, আদালত জানতে চান এ ঘটনায় মামলা হয়েছে কি? উপস্থিত আইনজীবী জানান, রিফাতের বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এরপর, আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারকে সব শেষ তথ্য আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সকালে, স্ত্রী মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে পৌছে দিতে গিয়েছিলেন রিফাত শরীফ। কলেজের গেট পার হতে না হতেই ১০ থেকে ১২ জনের একদল যুবক তাকে পথরোধ করে মারতে মারতে টেনে রাস্তায় নিয়ে আসে। এরপরই নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরায়েজী ধারালো দা দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময়, রিফাতে স্ত্রী মিন্নি রিফাতকে বারবার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।। কিন্ত, ততক্ষণে উপুর্যপরি কোপে মারাত্মকভাবে আহত হয় রিফাত।

পরে, গুরুতর আহত অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় সেখান থেকে তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া। সেখানেই রিফাত বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

রিফাত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ১২ জন আসামির মধ্যে চন্দন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চন্দন এ মামলার চার নম্বর আসামি।’

তবে সাধারন জনগনের একটাই দাবি আসল ঘটনা কি তা উন্মোচন করে যদি তার স্ত্রীর সাথে বদ্ধ পরিকল্পনাকারী থাকে তাহলে দু’জনকেই ওপেন ক্রসফায়ারে হত্যা করা হোক।

একজন জনগণের সাথে আমরা আলাপ করে জানতে পারি এধরনের ঘটনা প্রতিনিয়তই আমাদের দেশে ঘটে চলেছে এ ধরনের ঘটনার জন্য যদি তাদের প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় তাহলে আর এ ধরনের ঘটনা হবে না বলে সাধারণ জনগণের মতামত সকাল বিডি টুয়েন্টিফোর এর পক্ষ থেকে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি আমরা ‌।

অনেকেই বলছে পরকীয়ার জেরে নাকি এই হত্যা করা হয়েছে।

আর কত তাজা প্রাণ গেলে এরকম পরকীয়ার শেষ হবে জানতে চান সাধারণ জনগণ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!