সুনামগঞ্জের শাল্লায় মেম্বার ও চেয়ারম্যান কর্তৃক শালিশের নামে কিশোরীকে ধর্ষণ

সকালবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম: সুনামগঞ্জের শাল্লার বাহারা ইউনিয়নে এক কিশোরীকে এনে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষেই ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান আর তার এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও মেম্বার দেবব্রত দাস। তাদের বিরুদ্ধে কিশোরী শাল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।

গত (১৫ সেপ্টেম্বর, রোজ- বৃহস্পতিবার) সাড়ে রাত ৮টায় সুনামগঞ্জের শাল্লায় বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়া গ্রামের মলয় দাসের সঙ্গে ওই কিশোরীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক থাকার অবস্থায় প্রেমিক মলয় ওই কিশোরীকে রেখে অন্য এলাকায় বিয়ে করার প্রস্তুতি নেয়। এই খবর জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাড়ে রাত ৮টায় ওই কিশোরী মলয়ের বাড়িতে যায়।

মলয়ের অভিভাবকেরা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টুকে জানায়। চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী মলয়ের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে দেওয়ার কথা বলে কিশোরীকে রাতেই তার অফিসে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য দেবব্রত দাস মাতবর মিলে ওই কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছে কিশোরী ও তার পরিবার। ঘটনার পরদিন সকালে ওই কিশোরী শাল্লা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বাড়িতে চলে যায়।

কিশোরীর পরিবার আত্মীয় স্বজনরা জানায়, মলয়ের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও মেম্বার দেবব্রত দাস তাদের পরিষদে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও মেম্বার দেবব্রত দাস দুজনে মিলে রাতভর ধর্ষণ করেছে আমাদের মেয়েকে। আমরা এর কঠিন বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও ইউপি সদস্য দেবব্রত দাসের সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!