সোনারগাঁয়ে দূর্বৃত্তদের হামলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবকের মৃত্যু

সকালবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম: গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের ফতেপুর দড়িকান্দী এলাকার গাংগুলকান্দী গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহতের ঘটনায় ৭ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে নিহত যুবক নুরে-আলম।

আজ (৩রা মার্চ রোজঃ বৃহস্পতিবার) আনুমানিক বিকেল সারে ৪ ঘটিকায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর যমুনা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। নিহত মোঃ নুরে আলম উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের কুমারচর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার বড় ছেলে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের ফতেপুর দড়িকান্দি এলাকার গাংগুলকান্দী গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মাত্র ১০০ টাকার জন্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ও গুরুতর ব্যাক্তিদের ঢাকা কলেজ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

আহতদের মধ্যে নুরে আলমের অবস্থা আশংকা জনক হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি প্রাইভেট হাসপাতাল মোহাম্মদপুর যমুনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দীর্ঘ ৬ দিন ঐ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় নুরে আলমের মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত নুরে আলমের মামা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। উপজেলা সনমান্দী ইউনিয়নের ফতেপুর দড়িকান্দি এলাকায় শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় কুমারচর বনাম গাংগুলকান্দী নামে দুই দলের মধ্যে ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা চলাকালীন সময়ে খেলাকে কেন্দ্র করে গাংগুলকান্দী এলাকার হানিফ ও আউয়াল মিয়ার সাথে কুমারচর এলাকায় নুরে আলমের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিকেল ৫ টার দিকে গাংগুলকান্দী ও দড়িকান্দি এলাকার হানিফ, আউয়াল, অনিক, শাহ আলী, সাইদুল মিয়া, মারুফ, শরিফ, সানজিদ হোসেন, মুসা সহ ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দা, ছেনা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নুরে আলম ও তার লোকজনের ওপর হামলা চালায়।

এই ঘটনায় হামলার শিকার হয় রনি (২০), খোরশেদ আলম (২২), রাসেল (২২), সাখাওয়াত (২২), নূরে আলমসহ ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ও ঢাকা কলেজ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে নুরে আলমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর যমুনা হাসপাতালে ভর্তি করে। বিগত ৬ দিন চিকিৎসাধীন থেকে আজ ৩রা মার্চ রোজঃ বৃহস্পতিবার নুরে-আলমের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারী রবিবার বিকেলে এলাকাবাসী ও নুরে আলমের স্বজনরা হামলাকারীদের ফ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানিয়ে মানববন্ধন করে।

নিহত নুরে আলমের চাচাতো ভাই মোঃ মহসিন জানান, ৬ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর ৩রা মার্চ বিকেল সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুর যমুনা হাসপাতালে আমার ভাই নুরে-আলম মৃত্যুবরণ করে। সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, ক্রিকেট খেলা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছিল। যেহেতু ৬ দিন পর নুরে-আলম নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে, সেহেতু পূর্ব অভিযোগের ভিত্তিতে একটি হত্যা মামলা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!