কুড়িগ্রামের শ্রাবণের অল্প বয়সে শিল্পী হওয়ার গল্প

আশিকুজ্জামান মিজান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ বর্তমানে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সু-পরিচিতি আলোকিত এবং সুনামধন্য মুখ যার নাম ইয়াকুব রহমান শ্রাবন। অল্প বয়সে সঙ্গীত শিল্পী ও জুনিয়র গিটারিস্ট দক্ষতা দেখিয়েছেন এই কুড়িগ্রামের ছেলে।

পুরো নাম মোঃ ইয়াকুব রহমান শ্রাবন তবে সবাই তাকে শ্রাবন নামেই চিনে। তিনি রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ২০০২ সালের ১৮ এপ্রিল তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। ইয়াকুব রহমান শ্রাবন বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমার অনেক বড় সপ্ন ছিলো ভালো একজন গিটারিস্ট হওয়ার।

আমি পিএসসি পরিক্ষা দেওয়ার পর বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত তারকা আইয়ুব বাচ্চু স্যারের এক প্রোগামে গিটার বাজানো দেখার পর থেকে মনযোগ দিয়ে গিটারিস্ট এর কাজ শুরু করি। সেই সাথে সঙ্গীত ও গিটারিস্ট নিয়ে আগ্রহ জাগার পর থেকেই কাজ করতে থাকি ।

আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি একজন সঙ্গীত শিল্পীর পাশাপাশি একজন জুনিয়র গিটারিস্ট নামে পরিচিত। সঙ্গীত শিল্পী ও গিটারিস্ট কাজটা যদিও একটু প্যারা দায়ক কাজ তবুও সঙ্গীত নিয়ে কাজ করার মাঝে রয়েছে এক অন্য রকম আনন্দ। প্রায় বেশ কয়েকটি বছর থেকেই আমি এগুলো অনুসরণ করে আসতেছি এবং পিএসসি পরীক্ষার পর অবসর সময় কাজে লাগিয়ে সফলতার দিক এক ধাপ পা দেই।

তারপরশখ, শখ থেকে একসময় পেশায় রূপ নেয়। পড়াশোনার পাশাপাশিও সঙ্গীত শিল্পী ও গিটারিস্ট কাজে নিয়মিত। একসময় ইচ্ছা হলো পুরোপুরিই সঙ্গীত শিল্পী ও গিটারিস্ট একসাথে দুটা করি। তারপর যেই ভাবনা সেই কাজ। পিএসসি পরিক্ষার পর অবসর সময় থেকেই শুরু সঙ্গীত শিল্পী ও গিটারিস্ট কাজে।

সঙ্গীত শিল্পী ও গিটারিস্ট দুটাই আমার নেশা ও পেশা। এই কাজে আমি কখনই ক্লান্ত হই না। বাসায় আমি আমার মত করে কিছু প্রাকটিস করি। কাজটাকে আমি কখনই চাপ হিসেবে নেই না। কাজের মাঝে আনন্দ থাকলে সে কাজে কখনই ক্লান্তি আসে না। ইয়াকুব রহমান শ্রাবন আরো বলেন, কাজের প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে, শিখতে হবে, জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং চর্চা করতে হবে।

অনেকেমনে করেন, সঙ্গীত শিল্পী ও গিটারিস্ট এগুলো সমাজের জন্য বোঝা। এটা একদম ভুল ধারণা তাদের। এগুলো করার জন্য সময়, ধৈর্য এমনকি দক্ষতার প্রয়োজন হয়। সেইসঙ্গে কখন কিভাবে কাজ করতে হয় সে সম্পর্কেও জানতে হবে। সব ক্ষেত্রেই শিক্ষার একটা বিষয় আছে। কাজকে ভালোবাসতে হবে। কাজকে যত ভালোবাসা যাবে, মনোযোগী হওয়া যাবে, তত ভালো কাজ শেখা যাবে।

আর ভালো করার চেষ্টাই আপনাকে সফলতা এনে দেবে। চেষ্টা করতে হবে,হার মানা যাবে না,কে কি বলে তা শুনা যাবে না। পাঁচে লোকে কিছু বলবে এটাই আমাদের সমাজের নীতি। তবে সব বাধা পেরিয়ে নিজেকে নিজের মতো গড়ে তুলতে হবে।

অসংখ্য ধন্যবাদ আমার প্রিয় তারকা আয়ুব বাচ্চু স্যারকে এবং নীবৃতা জাবিন কে যাদের জন্য আজকে আমি এতটুকু পথ পার হতে পেরেছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আমি যেনো আমার সপ্নের চূড়ায় পৌঁছাতে পারি।

ইতিমধ্যে তার একটা গান ইউটিউবে জনপ্রিয়টা অর্জন করেছে। গানটা শিরোনামহীন ব্যান্ড এর মূলত তবুও সে লিরিক্স করে গেয়ে ভাইরাল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!