পুরুষের জটিল রোগ ক্লামাইডিয়া, লক্ষণ ও প্রতিকার

পুরুষালি রোগের মধ্যে ক্লামাইডিয়া একটি। এটি পুরুষের যৌনবাহিত সংক্রমণ রোগ। অনেক পুরুষ আছে গোপনাঙ্গের অসুখ বলে কাউকে শেয়ার করে না বা ডাক্তারের কাছেও যায় না। ফলে পরবর্তীতে এসব গোপনাঙ্গের রোগ নিয়ে অনেক ভুগতে হয়। অনেকেই হয়তো জানেন না, তাদের ক্লামাইডিয়া রোগের সংক্রমণ রয়েছে। কারণ রোগটির উপসর্গ সবার ক্ষেত্রে প্রকাশ পায় না। রোগটি যৌনসঙ্গিনীকেও সংক্রমিত করতে পারে এবং তাতে গুরুতর জটিলতা দেখা দেয়। আক্রান্ত হতে পারে
নবজাতকও।

উপসর্গ
তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। যদি মূত্রনালি সংক্রমিত হয়, তা হলে যেসব উপসর্গ থাকতে পারে তা হলো- পুরুষাঙ্গের মাথা থেকে রস নিঃসৃত হয়, প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করে, এপিডিডাইমিস সংক্রমিত হলে অণ্ডকোষে ব্যথা করে। প্রোস্টেট গ্রন্থি সংক্রমিত হলে- মূত্রনালি থেকে নিঃসরণ হবে, প্রস্রাব করার সময় কিংবা প্রস্রাব করার পর ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করে অথবা অস্বস্তি বোধ হয়, যৌনসঙ্গমের সময় কিংবা যৌনসঙ্গমের পর ব্যথা করে, পিঠের নিম্নভাগ বা কোমরে ব্যথা করে।

কখনো কখনো প্রোস্টেট কিংবা এপিডিডাইমিসের সংক্রমণ হঠাৎ তীব্র হয়। এ ধরনের সংক্রমণের ফলে জ্বর হয় অথবা অসুস্থতার অন্য লক্ষণগুলো দেখা দেয়। পায়ুপথ সংক্রমিত হলে- এটির চারপাশে জ্বালাপোড়া করে, পায়খানা করার সময় ব্যথা করে।

চিকিৎসা
সাধারণত সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে সংক্রমণ সেরে যায়। বেশিরভাগ মূত্রনালির সংক্রমণে ৭ দিন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের প্রয়োজন হয়। কখনো কখনো একক মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সংক্রমণের চিকিৎসা করা যেতে পারে। প্রোস্টেট গ্রন্থির সংক্রমণের জন্য ২ থেকে ৪ সপ্তাহ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

যেভাবে সংক্রমণ ঘটে
সংক্রমণ ঘটায় যে জীবাণু, তার নাম ক্লামাইডিয়া ট্রাকোমাটিস। এ জীবাণুগুলো ব্যাকটেরিয়ার মতোই। সংক্রমণ সাধারণত যৌনসঙ্গমের সময় এক দেহ থেকে অন্য দেহে ছড়ায়। এগুলো অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পায়ু এলাকায়ও হতে পারে। পুরুষের ক্ষেত্রে ক্লামাইডিয়া সাধারণত মূত্রনালি সংক্রমিত করে। মূত্রনালির সংক্রমণের নাম ইউরেথ্রাইটিস।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!