ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোগরাপাড়া ইউনিয়নে নৌকা ডুবিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী বাবুর জয়

সকালবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এক হাজারের বেশী ভোটে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দুইবারের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু।

অদ্য (১৫ই জুন, রোজ- বুধবার) সকাল ৮টা থেকে মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে বিকেলে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে বাবুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের হাজী শাহ্ মো. সোহাগ রনি।

১২ কেন্দ্রে ৭০টি বুথে ইভিএমে ভোট হয়। মোট ভোটার ছিল ২৪ হাজার ২৩৪ জন। ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪১ জন ও ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী অংশ নেয়।

স্থানীয়রা জানান, এবার নির্বাচনে বেশ কিছু ইস্যু কাজ করে। প্রথমত ব্যক্তিত্ব, দুই বিএনপি ও ইসলামী দলগুলোর অবস্থান, তৃতীয় জাতীয় পার্টির অবস্থান, চতুর্থ আওয়ামী লীগের ভেতরের পরিস্থিতি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আরিফ মাসুদ বাবু টানা দুইবারের চেয়ারম্যান। এলাকাতে তিনি সজ্জন ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত। এবার তিনি মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেন। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ এখন ঝুকেন বাবুর দিকে।

গত বছরের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের মামুনুল হক কান্ডের ঘটনায় সেখানেই ছিলেন সোহাগ রনি। বিষয়টা হেফাজতের নেতাকর্মীরা ভালোভাবে নেয়নি। ওই ঘটনায় মামলায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদেরও আসামী করা হয়েছিল। তাছাড়া স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাও নির্বাচনে মিডল পয়েন্টে রয়েছেন। তিনি নিরব থাকায় তার অনুগামীরাও ভোট ভাগ করে নিচ্ছেন। তারা আবার হেফাজতের ঘটনায় মামলার আসামী হওয়াতে কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দেয়।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

রোগীদের শতভাগ সেবা নিশ্চিতে নিরলস কাজ করছেন আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আশরাফুল আমিন।

মোগরাপাড়া ইউনিয়নে নৌকা ডুবিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী বাবুর জয়

Update Time : ০৬:৫৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২

সকালবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এক হাজারের বেশী ভোটে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দুইবারের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু।

অদ্য (১৫ই জুন, রোজ- বুধবার) সকাল ৮টা থেকে মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে বিকেলে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে বাবুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের হাজী শাহ্ মো. সোহাগ রনি।

১২ কেন্দ্রে ৭০টি বুথে ইভিএমে ভোট হয়। মোট ভোটার ছিল ২৪ হাজার ২৩৪ জন। ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪১ জন ও ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী অংশ নেয়।

স্থানীয়রা জানান, এবার নির্বাচনে বেশ কিছু ইস্যু কাজ করে। প্রথমত ব্যক্তিত্ব, দুই বিএনপি ও ইসলামী দলগুলোর অবস্থান, তৃতীয় জাতীয় পার্টির অবস্থান, চতুর্থ আওয়ামী লীগের ভেতরের পরিস্থিতি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আরিফ মাসুদ বাবু টানা দুইবারের চেয়ারম্যান। এলাকাতে তিনি সজ্জন ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত। এবার তিনি মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেন। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ এখন ঝুকেন বাবুর দিকে।

গত বছরের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের মামুনুল হক কান্ডের ঘটনায় সেখানেই ছিলেন সোহাগ রনি। বিষয়টা হেফাজতের নেতাকর্মীরা ভালোভাবে নেয়নি। ওই ঘটনায় মামলায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদেরও আসামী করা হয়েছিল। তাছাড়া স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাও নির্বাচনে মিডল পয়েন্টে রয়েছেন। তিনি নিরব থাকায় তার অনুগামীরাও ভোট ভাগ করে নিচ্ছেন। তারা আবার হেফাজতের ঘটনায় মামলার আসামী হওয়াতে কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দেয়।