
সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব বলেন; আমি বিএনপির রাজনৈতিক দলের কর্মী, আমার প্রতি দলের দিক-নির্দেশনা আছে কাজ করার জন্য। আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে কিছু নির্দিষ্ট বার্তা দিয়েছেন কিভাবে সংগঠন কাজ করতে হবে। সাংগঠনিক নিয়ম মেনে যে কাজগুলো করা দরকার সেগুলো আমি করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিগত ২০০৮ সালে আমি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে মনোনয়ন কিনেছিলাম এবং ইন্টারভিউ বোর্ডেও ছিলাম। সেই হিসেবে আমার জনপ্রতিনিধি হবার আকাঙ্খা রয়েছে। আমি যেহেতু দলের হয়ে কাজ করছি সেক্ষেত্রে দল যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে আমি নির্বাচন করবো। এখানে কোন নির্দিষ্ট আসন বিষয় না। আগে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা মিলে ৪ আসন ছিল। আর এখন সেটার সীমানা পরিবর্তন করে নতুন করে সিদ্ধিরগঞ্জকে সোনারগাঁয়ের সাথে যুক্ত করে ৩ আসনে নেওয়া হয়েছে। আমি সিদ্ধিরগঞ্জের ভোটার হলেও নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোট কোন আসনে পড়েছে সেটা বিষয় না। মূলত দল আমাকে যে আসনে দিবে আমি সেই আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমাদের প্রত্যেকটি এলাকায় সেই বিচরণটা রয়েছে। তাই সাংগঠনিকভাবে যেকোনো আসন থেকে দিলে আমার কোনো সমস্যা হবে না।
মনোনয়ন না পেলে যা করবেন বলে জানান রাজীব, দল মনোনীত না করলে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হবার প্রশ্নই আসে না। আমি দল করি, দল আমাকে যে সিদ্ধান্ত দিবে আমি সেই সিদ্ধান্তের বাহিরে যাব না। একেক জনের একেক চাহিদা, মনোভাব থাকতে পারে তবে, আমি আমার জায়গা থেকে স্পষ্ট করলাম যে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবো না। মূল কথা হলো দল যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই হবে।
নির্বাচনে রাজীবকে মানুষ কেনো ভোট দিবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলে, এলাকার মানুষের মাঝে আমি সেই উপলব্ধিটা জাগ্রত করতে সক্ষম হয়েছি যে ভোটাররা ভোট দিলে মনে করবে যে আমাকে দেওয়া মানে সাধারণ জনগণকেই দেওয়া। জনগণ আমাকে ভোট দিলে আমি সবার চেয়ে সেরা হয়ে গেলাম ঠিক এমনটাও না, এমন মন মানসিকতাটা আমি লালন করি না। আমি লালন করি সবার কথা শুনে তাদের কথা কে বাস্তবায়ন করাটাই আমার সাংগঠনিক দায়িত্ব।
এখন পর্যন্ত আমি জনগণের দারপ্রান্তে যাচ্ছি এবং তাদের সাড়া পাচ্ছি। আর এই যাওয়া শুধু নির্বাচনের জন্য যাওয়া না এটা সব সময়ের। ভোটাররা নিজেদেরকেই জনপ্রতিনিধি মনে করবে এটাই আমার চাওয়া। আমি মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি নিঃস্বার্থভাবে।
জনসেবা করা ও হাঁটু পানিতে নামার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এমপি হবার জন্য জনসেবা করি না। রাজনীতি করি জনগণের কল্যানে। আমি দলের সচেতন কর্মী হিসেবে ফতুল্লার পানিবন্ধী এলাকায় গিয়েছি। সেখানে গিয়ে সমস্যার সাময়িকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ফতুল্লার পানিটা সরানো সময়ের প্রয়োজন। এটা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া সম্ভব না। আমি জনগণকে অনুদান করার মতো ক্ষমতা এখনো হয়নি। ব্যবসা বানিজ্যের টাকায় যতটুকু সম্ভব করি। ৫ আগস্টের আগে আমরা ব্যবসা করার সুযোগ পেতাম না। বৈধতা থাকা সত্বেও বাধা দেওয়া হতো। আওয়ামী লীগের লোকজনই সব করতো। তবে সরকার পতনের পর আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য করার সুযোগ হয়েছে। আর সে টাকায় চেষ্টা করি।
তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে যে আওয়ামীলীগ যাবার পর সমস্ত জায়গায় বিএনপি দখল করেছে। কারণ বিএনপি একটা বড় দল সেজন্য বিএনপিকে দেখা যায়ও বেশি। সমস্ত অঞ্চল ও ওয়ার্ডে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রয়েছে। নির্যাতনের শিকার নেতৃবৃন্দ রয়েছে এবং স্বাভাবিক কারণে তাদের মানুষ চেনে-যানে। তারা ব্যবসা বানিজ্য করতে গেলেই বিএনপির বিরুদ্ধে বলা হয়। বিএনপি কি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়? সবকিছুতে বিএনপি কিভাবে সুযোগ সুবিধা পাবে? বরং অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা অন্য মানুষেরা পায় অথচ বিএনপির উপর ঢালাওভাবে অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ব্যক্তির দায় তো দল নিবে না। আমি ব্যক্তি কোনো ভুল করলে সেটা আমার ব্যক্তিগত ভুল, এটার জন্য দলকে কেনো দায়ী করা হবে? হ্যাঁ আমি অপরাধ করার পরও যদি দল আমার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলে যে আমি অপরাধী না সেক্ষেত্রে দলের দোষ হবে। অন্যথায় মিথ্যাচার করার অন্যায়।