ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“রাশিয়ায় ইয়াং মেন্টর অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তা”

রাশিয়ার কাজানে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তা আরাফাতুল ইসলাম আকিব অর্জন করেছেন মর্যাদাপূর্ণ “ইয়াং মেন্টর অব দ্য ইয়ার – সোশ্যাল সল্যুশন অ্যাওয়ার্ড”। ৭৫টি দেশের ৭,০০০ এরও বেশি আবেদনকারীর মধ্য থেকে বাছাই হওয়া ৫০০ প্রতিনিধির মধ্যে আকিব ছিলেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি।

চট্টগ্রাম থেকে সীমিত সম্পদ নিয়ে তিনি শুরু করেন যাত্রা। প্রতিষ্ঠা করেন স্টার্টআপ চট্টগ্রাম—ঢাকার বাইরে দেশের প্রথম প্রাণবন্ত স্টার্টআপ হাব। কখনো ক্যাফেতে, কখনো ধারকরা জায়গায় বসে, এমনকি নিজের সঞ্চয় খরচ করেও চালিয়েছেন উদ্যোক্তা কার্যক্রম। তার উদ্যোগের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সহায়তা পেয়েছেন ৭৭৫ এর বেশি উদ্যোক্তা, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেড় লক্ষাধিক মানুষের জীবনে।

বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে তার প্রভাব পৌঁছেছে বিশ্বমঞ্চে। তিনি বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন ৪৫টি দেশের ২৩৫টিরও বেশি স্টার্টআপে ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডস-এর মাধ্যমে এবং চট্টগ্রামে নিয়ে এসেছেন গুগল ফর স্টার্টআপস পার্টনার প্ল্যাটফর্ম Startup Grind। তার মূল দর্শন: স্থানীয় সমাধানই বিশ্বে প্রভাব ফেলতে পারে।

পুরস্কার গ্রহণ করে আকিব বলেন, “এই স্বীকৃতি কেবল আমার নয়। এটি প্রতিটি তরুণ উদ্যোক্তা, প্রতিটি নারী উদ্যোক্তা এবং বাংলাদেশের প্রতিটি চেঞ্জমেকারের। এই সম্মান প্রমাণ করে বাংলাদেশও বিশ্বমঞ্চে নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম।”

এই অর্জন কেবল আকিবের নয়, বরং বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও সামাজিক উদ্ভাবনের সক্ষমতাকে গর্বের সঙ্গে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে

Tag :

“রাশিয়ায় ইয়াং মেন্টর অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তা”

“রাশিয়ায় ইয়াং মেন্টর অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তা”

Update Time : ১১:১৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাশিয়ার কাজানে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তা আরাফাতুল ইসলাম আকিব অর্জন করেছেন মর্যাদাপূর্ণ “ইয়াং মেন্টর অব দ্য ইয়ার – সোশ্যাল সল্যুশন অ্যাওয়ার্ড”। ৭৫টি দেশের ৭,০০০ এরও বেশি আবেদনকারীর মধ্য থেকে বাছাই হওয়া ৫০০ প্রতিনিধির মধ্যে আকিব ছিলেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি।

চট্টগ্রাম থেকে সীমিত সম্পদ নিয়ে তিনি শুরু করেন যাত্রা। প্রতিষ্ঠা করেন স্টার্টআপ চট্টগ্রাম—ঢাকার বাইরে দেশের প্রথম প্রাণবন্ত স্টার্টআপ হাব। কখনো ক্যাফেতে, কখনো ধারকরা জায়গায় বসে, এমনকি নিজের সঞ্চয় খরচ করেও চালিয়েছেন উদ্যোক্তা কার্যক্রম। তার উদ্যোগের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সহায়তা পেয়েছেন ৭৭৫ এর বেশি উদ্যোক্তা, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেড় লক্ষাধিক মানুষের জীবনে।

বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে তার প্রভাব পৌঁছেছে বিশ্বমঞ্চে। তিনি বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন ৪৫টি দেশের ২৩৫টিরও বেশি স্টার্টআপে ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডস-এর মাধ্যমে এবং চট্টগ্রামে নিয়ে এসেছেন গুগল ফর স্টার্টআপস পার্টনার প্ল্যাটফর্ম Startup Grind। তার মূল দর্শন: স্থানীয় সমাধানই বিশ্বে প্রভাব ফেলতে পারে।

পুরস্কার গ্রহণ করে আকিব বলেন, “এই স্বীকৃতি কেবল আমার নয়। এটি প্রতিটি তরুণ উদ্যোক্তা, প্রতিটি নারী উদ্যোক্তা এবং বাংলাদেশের প্রতিটি চেঞ্জমেকারের। এই সম্মান প্রমাণ করে বাংলাদেশও বিশ্বমঞ্চে নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম।”

এই অর্জন কেবল আকিবের নয়, বরং বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও সামাজিক উদ্ভাবনের সক্ষমতাকে গর্বের সঙ্গে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে