
সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ সোনারগাঁয়ে উপজেলা শম্ভুপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পীর মোহাম্মদ এর স্কুলের অনুষ্ঠানে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, সচিব এবং প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্ট এ সোনারগাঁ ক্যাপিটাল স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত কৃর্তি
শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্মান জানানো হলেও এর আয়োজন ও পেছনের নেপথ্য ভূমিকায় রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ উঠেছে।
এখানে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, মুখ্য আলোচক নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া, সভাপতিত্বে করবেন বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মহসিন মিয়া।
বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এসপিপি,পিবিজিএম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জহিরুল হক খাঁন,অতিরিক্ত ডিআইজি বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশ নাবিলা জাফরিন রীনা, পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ জসীম উদ্দিন পিপিএম-বার, পুলিশ সুপার বাংলাদেশ পুলিশ আক্তার হোসেন বিপিএম, স্হানীয় সরকার রাজবাড়ী উপপরিচালক মাজহারুল ইসলাম (উপসচিব), সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, সচিব, পুলিশ সুপারসহ উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতি প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে এতগুলো দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তার অংশগ্রহণকে অনেকেই অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হলেন পীর মোহাম্মদ, সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ কারণে সংবর্ধনার মতো শিক্ষামূলক উদ্যোগকে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নেপথ্যে সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী শাকিল সাইফুল্লাহর সম্পৃক্ততা বিষয়টিকে আরও বিতর্কিত করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার মতো নিরপেক্ষ একটি আয়োজনকে রাজনৈতিক প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের একাংশের মতে, এ ধরনের অনুষ্ঠানে প্রশাসনের জড়িত থাকা শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতির প্রভাবে কলুষিত করে এবং প্রকৃত কৃতী শিক্ষার্থীদের সাফল্যের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে।