মোঃ পলাশ শিকদারঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অটোচালকদের সাথে বাকবিতন্ডার ঘটনায় যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে র্যাব-১১। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে সোনারগাঁ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত যুবকের নাম মো. রানা (৩৫)। সে সোনারগাঁ উপজেলার মাঝেরচর এলাকার সোহরাব মেম্বারের ছেলে।
র্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার (এএসপি) সনদ বড়ুয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোনারগাঁ নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক ও চর নোয়াগাঁও গ্রামের শফেদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম ২৫ জানুয়ারি বিকেল আনুমানিক পৌনে ৪টায় রূপগঞ্জের ভূলতা-গাউছিয়া এলাকায় ব্যবসায়ের কাজে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর বাসস্ট্যান্ডে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠেন। দীর্ঘ সময় কোনো যাত্রী না উঠার কারণে তিনি অটোরিকশা থেকে নেমে অন্য আরেকটি গাড়িতে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এ সময় অটোরিকশা থেকে নেমে যাওয়ার কারণে অটোরিকশার লাইনম্যান জাকির হোসেন ও অটোচালক দায়েন ও রানার সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে লাইনম্যান জাকির হোসেন, দায়েন ও রানা লাঠি দিয়ে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তাদের সাথে স্ট্যান্ডের অন্যান্য অটোচালকরা ভিকটিমকে কিল ঘুষি ও মারধর করে। তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে নজরুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তাকে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব আরও জানায়, এই ঘটনায় পরদিন রাতে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাঝের চর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের লাইনম্যান জাকির হোসেন, দায়েন ও রানা’সহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ আরও পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।