Dhaka 4:20 am, Thursday, 17 July 2025

সোনারগাঁয়ে সড়কে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি চরমে

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় নালা নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন স্থানে কাদামাটিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। সেখানে রাস্তা থেকে দুই ফুট উঁচু করে নালা তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা না রাখার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। 

এক মাস ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর অজুহাতে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির কারণে রাস্তায় সৃষ্ট গর্তে যানবাহন উল্টে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। এ ছাড়া ভারী বৃষ্টি হলেই আশপাশের কয়েকটি মার্কেটের দোকানে পানি ঢুকে যায়। এদিকে সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. খোরশেদ আলম বলেছেন, দু-এক দিনের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।  

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ফুটওভারব্রিজ থেকে শুরু করে শহিদ মজনু পার্ক পর্যন্ত নালা ও গুরুত্বপূর্ণ চার স্থানে আরসিসি ঢালাইয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। পরে হাসমত অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় কার্যাদেশ পায়। এর মধ্যে নালা তৈরিতে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় কার্যাদেশ পাওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নির্মাণকাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাণকাজের শুরু থেকে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে অনিয়ম করে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। 

মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার আইয়ুব প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, নির্মাণকাজে ধীরগতি হওয়ার কারণে মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে এই এলাকা একাকার হয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

রহমত ম্যানশনের কসমেটিকস ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া জানান, তার দোকান সড়কের পাশে হওয়ায় বৃষ্টি হলে দোকানের ভেতরে পানি ঢুকে যায়। এত তার মালপত্র নষ্ট হয়ে যায়। তিনি জানান, জলাবদ্ধতা আর কাদামাটিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন মানুষ। দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ হলে ভোগান্তি দূর হবে।  

মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ওষুধ ব্যবসায়ী রিপন হোসেন বলেন, ‘জলাবদ্ধতায় ময়লা-আবর্জনা পানিতে মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পানি নামার ব্যবস্থা না রাখার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হাসমত আলী হাসু জানান, কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে তারা কাজ করছেন। নালা তৈরির কাজ শেষের দিকে। পল্লী বিদ্যুতের চারটি বৈদ্যুতিক খুঁটি না সরানোর কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। খুঁটি সরালেই কাজ শুরু করা হবে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘খুঁটি সরানোর কাজ চলছে। বৃষ্টিতে ধীরগতি হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে।’ 

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ‘জলাবদ্ধতার বিষয়টি দুঃখজনক। বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতে আবেদন করা হয়েছে। খুঁটি সরিয়ে নিলেই দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।’

Tag :

সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের

সোনারগাঁয়ে সড়কে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি চরমে

Update Time : 07:29:10 পূর্বাহ্ন, বুধবার, 16 জুলাই 2025

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় নালা নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন স্থানে কাদামাটিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। সেখানে রাস্তা থেকে দুই ফুট উঁচু করে নালা তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা না রাখার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। 

এক মাস ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর অজুহাতে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির কারণে রাস্তায় সৃষ্ট গর্তে যানবাহন উল্টে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। এ ছাড়া ভারী বৃষ্টি হলেই আশপাশের কয়েকটি মার্কেটের দোকানে পানি ঢুকে যায়। এদিকে সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. খোরশেদ আলম বলেছেন, দু-এক দিনের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।  

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ফুটওভারব্রিজ থেকে শুরু করে শহিদ মজনু পার্ক পর্যন্ত নালা ও গুরুত্বপূর্ণ চার স্থানে আরসিসি ঢালাইয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। পরে হাসমত অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় কার্যাদেশ পায়। এর মধ্যে নালা তৈরিতে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় কার্যাদেশ পাওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নির্মাণকাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাণকাজের শুরু থেকে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে অনিয়ম করে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। 

মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার আইয়ুব প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, নির্মাণকাজে ধীরগতি হওয়ার কারণে মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে এই এলাকা একাকার হয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

রহমত ম্যানশনের কসমেটিকস ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া জানান, তার দোকান সড়কের পাশে হওয়ায় বৃষ্টি হলে দোকানের ভেতরে পানি ঢুকে যায়। এত তার মালপত্র নষ্ট হয়ে যায়। তিনি জানান, জলাবদ্ধতা আর কাদামাটিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন মানুষ। দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ হলে ভোগান্তি দূর হবে।  

মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ওষুধ ব্যবসায়ী রিপন হোসেন বলেন, ‘জলাবদ্ধতায় ময়লা-আবর্জনা পানিতে মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পানি নামার ব্যবস্থা না রাখার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হাসমত আলী হাসু জানান, কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে তারা কাজ করছেন। নালা তৈরির কাজ শেষের দিকে। পল্লী বিদ্যুতের চারটি বৈদ্যুতিক খুঁটি না সরানোর কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। খুঁটি সরালেই কাজ শুরু করা হবে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘খুঁটি সরানোর কাজ চলছে। বৃষ্টিতে ধীরগতি হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে।’ 

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ‘জলাবদ্ধতার বিষয়টি দুঃখজনক। বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতে আবেদন করা হয়েছে। খুঁটি সরিয়ে নিলেই দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।’