
সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আতিক তালুকদার এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আতিক তালুকদার সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিয়োগ, আর্থিক লেনদেন ও বিদ্যালয়ের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের স্বচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে না বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দুর্নীতি ভাইরাল হওয়ায় বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে এবং পাঠদানের পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া, শিক্ষা কর্মকর্তাদের অযাচিত প্রভাব খাটানো ও দায়িত্বশীল পদে অবৈধ হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিভাবকদের দাবি, এসব অনিয়মের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে এবং শিক্ষার মান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
অভিযোগকারীরা অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক আতিক তালুকদার এর বিরুদ্ধে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা, বিদ্যালয়ের স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নোয়াগাঁও হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আতিক তালুকদার এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এবিষয়ে জানতে সোনারগাঁ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। ডিজি স্যার বরাবর যেহেতু আবেদন করা সেহেতু ডিজি স্যার এর কাছ থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা সেভাবে কাজ করবো৷
অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের অভিযোগ কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, সম্মানিত সকল অভিভাবক ও স্থানীয়দের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আধিপত্য বিস্তারকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে নানারকম অজুহাত আর কাল্পনিক গল্প শুনিয়ে পুরো একটি বছর আগের করা এডহক কমিটি বহাল রেখেছেন। মুল বক্তব্য হচ্ছে, তিনি সরকারি বিধিমালা মানতে নারাজ, যেখানে সারাদেশে পুনরায় এডহক কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালিত হয়ে আসছে, সেখানে তিনি পুরাতন কমিটি বহাল রেখে নিজের খেয়ালখুশি কাজ করে চলছেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
স্কুলের জমিদাতা হাজী আবুল কাশেম জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসেন না। এডহক কমিটি তে অনিহা, কর্মচারী নিয়োগে অর্থনৈতিক লেনদেন সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি৷ আমি আশাবাদী তিনি তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।