ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিলমারীতে পানিবন্দী কয়েক শ পরিবার; বাঁধে মানবেতর জীবনযাপন

 

 

রয়েল হাসান

বিভাগীয় প্রতিনিধি, রংপুর:

 

বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময় বন্যা যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকশো পরিবার উজানের পানির ঢলে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

 

গত কয়েকদিন থেকে উজানের ঢল এবং প্রবল বর্ষণের ফলে বিপদসীমা অতিক্রম করে বৃদ্ধি পেতে থাকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। কিছু জায়গায় বেড়িবাঁধ তুলনামূলক নিচু হওয়ায় লোকালয়ে প্রবেশ করে বন্যার পানি।

 

যার ফলশ্রুতিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েকশো পরিবার। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। নেই পর্যাপ্ত খাদ্য দ্রব্য, বিশুদ্ধ খাবার পানি , সঠিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা।

 

আজ সরেজমিনে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায় গবাদি পশু এবং পরিবার নিয়েই বাঁধের উপর মানবেতর জীবনযাপন করছে এসব পরিবারের লোকজন।

কখনো বা হঠাৎ বৃষ্টির ভয় তাই পলিথিনের ছাউনী দিয়ে অনেকেই নির্মাণ করছে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই।

 

 

কাঁচকোল পয়েন্ট থেকে ফকিরের হাট পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় আড়াই আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় দেখা যায় মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই বানানোর চিত্র ।

 

অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় ঘরে নেই পর্যাপ্ত খাবার, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোনো ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ।

 

বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পাউবো, কুড়িগ্রাম অফিসে যোগাযোগ করা হলে জানা যায় ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৬সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বন্যার পানি। তবে বেড়িবাঁধ নিচু হওয়ায় লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি এবং নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।

Tag :
About Author Information

Palash Sikder

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁও ক্যাপিটাল স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে চারাগাছ বিতরণ

চিলমারীতে পানিবন্দী কয়েক শ পরিবার; বাঁধে মানবেতর জীবনযাপন

Update Time : ১০:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০

 

 

রয়েল হাসান

বিভাগীয় প্রতিনিধি, রংপুর:

 

বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময় বন্যা যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকশো পরিবার উজানের পানির ঢলে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

 

গত কয়েকদিন থেকে উজানের ঢল এবং প্রবল বর্ষণের ফলে বিপদসীমা অতিক্রম করে বৃদ্ধি পেতে থাকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। কিছু জায়গায় বেড়িবাঁধ তুলনামূলক নিচু হওয়ায় লোকালয়ে প্রবেশ করে বন্যার পানি।

 

যার ফলশ্রুতিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েকশো পরিবার। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। নেই পর্যাপ্ত খাদ্য দ্রব্য, বিশুদ্ধ খাবার পানি , সঠিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা।

 

আজ সরেজমিনে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায় গবাদি পশু এবং পরিবার নিয়েই বাঁধের উপর মানবেতর জীবনযাপন করছে এসব পরিবারের লোকজন।

কখনো বা হঠাৎ বৃষ্টির ভয় তাই পলিথিনের ছাউনী দিয়ে অনেকেই নির্মাণ করছে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই।

 

 

কাঁচকোল পয়েন্ট থেকে ফকিরের হাট পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় আড়াই আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় দেখা যায় মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই বানানোর চিত্র ।

 

অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় ঘরে নেই পর্যাপ্ত খাবার, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোনো ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ।

 

বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পাউবো, কুড়িগ্রাম অফিসে যোগাযোগ করা হলে জানা যায় ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৬সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বন্যার পানি। তবে বেড়িবাঁধ নিচু হওয়ায় লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি এবং নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।