ঢাকা ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৩তম বিসিএসে আশানুরূপ আবেদন আসছে না

গত কয়েকটি সাধারণ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় দুই হাজার পদের বিপরীতে চার লাখ আবেদন পড়েছে। প্রথম সপ্তাহে যেখানে এক লাখের বেশি আবেদন পড়তো, সেখানে এবারের ৪৩তম বিসিএসে ১২ দিনে পড়েছে মাত্র ১২ হাজার আবেদন।

পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, এবার করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরে মার্চ থেকে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স-মাস্টার্সের পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। আর যেসব পরীক্ষা হয়েছে তারও ফল প্রকাশ হচ্ছে না। এ কারণে ৪৩তম বিসিএসে আশানুরূপ আবেদন পড়ছে না।

এরমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সুযোগ দিতে পিএসসির কাছে আবেদন করেছে। অ্যাপেয়ার্ড শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের আবেদন করার সুযোগ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে পিএসসির। তবে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন রোববার (১০ জানুয়ারি) সকালবিডি টুয়েন্টিফোর কে বলেন, বিগত কয়েকটি সাধারণ বিসিএসে ৪ লাখের মতো আবেদন পড়ে। কিন্তু এবার আবেদন কম পড়েছে, এটি বলার সময় এখনও হয়নি। আমরা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

আবেদনের সময় বাড়ানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শেষের দিকে আবেদনের সংখ্যা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারণ, এবার এক বছরের মধ্যে ৪৩ বিসিএসের সব কাজ শেষ করতে চাই। তাই সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। এতে পরীক্ষা নেয়ার সময় দীর্ঘায়িত হবে। তবে আমরা চাই সবাই যেন পরীক্ষায় অংশ নেয়। আবেদন শেষে পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে কমিশনের সভায় সময় বাড়ানো প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এরপর ৩০ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়, যা চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

রোগীদের শতভাগ সেবা নিশ্চিতে নিরলস কাজ করছেন আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আশরাফুল আমিন।

৪৩তম বিসিএসে আশানুরূপ আবেদন আসছে না

Update Time : ০৬:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০২১

গত কয়েকটি সাধারণ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় দুই হাজার পদের বিপরীতে চার লাখ আবেদন পড়েছে। প্রথম সপ্তাহে যেখানে এক লাখের বেশি আবেদন পড়তো, সেখানে এবারের ৪৩তম বিসিএসে ১২ দিনে পড়েছে মাত্র ১২ হাজার আবেদন।

পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, এবার করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরে মার্চ থেকে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স-মাস্টার্সের পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। আর যেসব পরীক্ষা হয়েছে তারও ফল প্রকাশ হচ্ছে না। এ কারণে ৪৩তম বিসিএসে আশানুরূপ আবেদন পড়ছে না।

এরমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সুযোগ দিতে পিএসসির কাছে আবেদন করেছে। অ্যাপেয়ার্ড শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের আবেদন করার সুযোগ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে পিএসসির। তবে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন রোববার (১০ জানুয়ারি) সকালবিডি টুয়েন্টিফোর কে বলেন, বিগত কয়েকটি সাধারণ বিসিএসে ৪ লাখের মতো আবেদন পড়ে। কিন্তু এবার আবেদন কম পড়েছে, এটি বলার সময় এখনও হয়নি। আমরা শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

আবেদনের সময় বাড়ানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শেষের দিকে আবেদনের সংখ্যা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারণ, এবার এক বছরের মধ্যে ৪৩ বিসিএসের সব কাজ শেষ করতে চাই। তাই সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। এতে পরীক্ষা নেয়ার সময় দীর্ঘায়িত হবে। তবে আমরা চাই সবাই যেন পরীক্ষায় অংশ নেয়। আবেদন শেষে পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে কমিশনের সভায় সময় বাড়ানো প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এরপর ৩০ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়, যা চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেয়া হবে।