ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য: আতঙ্কে স্থানীয়রা

সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের উত্তরাঞ্চলে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও কিশোর অপরাধের প্রবণতা ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ভদ্রসমাজের হাঁটাচলার জায়গা কিংবা অবসর যাপনের উন্মুক্ত স্থানগুলোতেও এখন কিশোর গ্যাংয়ের উপস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের সমাগম এসব স্থানে অনেকটাই কমে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে এসব কিশোর গ্যাং সদস্যদের আটক করলেও, রাজনৈতিক তদবির আর প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে তারা খুব সহজেই ছাড় পেয়ে যায়। পরে দরবার পার্টির মধ্যস্থতায় অর্থের বিনিময়ে ঘটনাগুলো ধামাচাপা পড়ে যায়।
প্রত্যেক এলাকায়ই এই কিশোর গ্যাংয়ের পেছনে রয়েছে কিছু ‘রাজনৈতিক বড় ভাই’। তাদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠছে ছোট-বড় নানা গ্যাং, যারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক সেবন ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে লিপ্ত।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় হাজীগঞ্জে মাদক উদ্ধার ও আটক অভিযান কয়েকগুণ বেড়েছে। এতে স্পষ্ট, এলাকায় মাদক ব্যবহারও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজারগাঁও ইউনিয়নের উত্তরাঞ্চলে কিশোরদের একাংশ যেখানে পড়াশোনা ও ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্নে ব্যস্ত, সেখানে আরেক অংশ জড়িয়ে পড়ছে ‘কিশোর গ্যাং’ নামের অন্ধকার জগতে। প্রশাসনের কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও এই গ্যাং সংস্কৃতি থামানো যাচ্ছে না।

বর্তমানে ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই একাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তাদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য: আতঙ্কে স্থানীয়রা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য: আতঙ্কে স্থানীয়রা

Update Time : ০৩:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের উত্তরাঞ্চলে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও কিশোর অপরাধের প্রবণতা ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ভদ্রসমাজের হাঁটাচলার জায়গা কিংবা অবসর যাপনের উন্মুক্ত স্থানগুলোতেও এখন কিশোর গ্যাংয়ের উপস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের সমাগম এসব স্থানে অনেকটাই কমে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে এসব কিশোর গ্যাং সদস্যদের আটক করলেও, রাজনৈতিক তদবির আর প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে তারা খুব সহজেই ছাড় পেয়ে যায়। পরে দরবার পার্টির মধ্যস্থতায় অর্থের বিনিময়ে ঘটনাগুলো ধামাচাপা পড়ে যায়।
প্রত্যেক এলাকায়ই এই কিশোর গ্যাংয়ের পেছনে রয়েছে কিছু ‘রাজনৈতিক বড় ভাই’। তাদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠছে ছোট-বড় নানা গ্যাং, যারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক সেবন ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে লিপ্ত।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় হাজীগঞ্জে মাদক উদ্ধার ও আটক অভিযান কয়েকগুণ বেড়েছে। এতে স্পষ্ট, এলাকায় মাদক ব্যবহারও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজারগাঁও ইউনিয়নের উত্তরাঞ্চলে কিশোরদের একাংশ যেখানে পড়াশোনা ও ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্নে ব্যস্ত, সেখানে আরেক অংশ জড়িয়ে পড়ছে ‘কিশোর গ্যাং’ নামের অন্ধকার জগতে। প্রশাসনের কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও এই গ্যাং সংস্কৃতি থামানো যাচ্ছে না।

বর্তমানে ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই একাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তাদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।