ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ আলোচনায় শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া

সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ–৩ (সোনারগাঁ–সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন পর নির্বাচনের আমেজে এবার সর্বোচ্চ আলোচনায় উঠে এসেছেন জামায়াতের প্রার্থী শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এই প্রার্থী সাম্প্রতিক সময়ে সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও চরিত্র-মাধুর্য দিয়ে ভোটারদের মনোযোগ কাড়ছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে সোনারগাঁয়ের তরুণ ও শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা দ্রুত বাড়ছে।

শিক্ষার উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের অঙ্গীকার সম্পর্কে প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, আমরা একটি সোনালী সমাজ উপহার দিতে চাই-যেখানে থাকবে ন্যায়, সুবিচার ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন। তিনি আরও যোগ করেন, সুশিক্ষিত জাতিই পারে কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা গড়তে।

মাদক, চাঁদাবাজ , সন্ত্রাস ও দখলবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে আমরা কাজ করব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী এই শিক্ষাবীদ সোনারগাঁ আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল। একই সঙ্গে তিনি সোনারগাঁ উন্নয়ন ফোরাম, ইকরা ইসলামিক পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদ, এবং সোনারগাঁ ইশাখাঁ ফাউন্ডেশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।

মাঠে প্রচারণা ও জনসংযোগ,
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, বাজার ও গ্রামে গণসংযোগ করছেন। স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর প্রচারণায় “সুশাসন” ও “পরিবর্তন”-এর বার্তা প্রধান হয়ে উঠেছে।

সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা শরীফ হোসেন বলেন, তিনি শিক্ষিত মানুষ, এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চান। তাঁর কথাবার্তায় নম্রতা ও সততা আছে-এটাই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া ভালো মানুষ হলেও জামায়তে ইসলামীর রাজনীতি জনগণ এখনই গ্রহণ করবেন না।

স্থানীয় পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামায়াতে ইসলামীর সুশৃঙ্খল সাংগঠনিক কাঠামো, দলীয় সুনাম ও শিক্ষাবিদ হিসেবে ড. ইকবালের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি-এই উপাদান গুলি তাঁর পক্ষে ব্যাপক কাজ করছে। গোপন ব্যালট বিপ্লবের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। ভোটার উপস্থিতি, নিরাপদ পরিস্থিতি ও বিএনপির অপকর্ম ইস্যু নির্বাচনের ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।

সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়ার উত্থান এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। শিক্ষিত, শান্ত স্বভাবের এই প্রার্থী যদি তাঁর বার্তা ভোটারদের কাছে স্পষ্টভাবে পৌঁছে দিতে পারেন, তবে সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন এক অধ্যায় যুক্ত হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলির মতো এখানেও ভূমিধ্বস বিজয়ের সম্ভাবনা আছে দাঁড়িপাল্লায় জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়ার।

Tag :

সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ আলোচনায় শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া

সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ আলোচনায় শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া

Update Time : ০৯:৩৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ–৩ (সোনারগাঁ–সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন পর নির্বাচনের আমেজে এবার সর্বোচ্চ আলোচনায় উঠে এসেছেন জামায়াতের প্রার্থী শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এই প্রার্থী সাম্প্রতিক সময়ে সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও চরিত্র-মাধুর্য দিয়ে ভোটারদের মনোযোগ কাড়ছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে সোনারগাঁয়ের তরুণ ও শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা দ্রুত বাড়ছে।

শিক্ষার উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের অঙ্গীকার সম্পর্কে প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, আমরা একটি সোনালী সমাজ উপহার দিতে চাই-যেখানে থাকবে ন্যায়, সুবিচার ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন। তিনি আরও যোগ করেন, সুশিক্ষিত জাতিই পারে কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা গড়তে।

মাদক, চাঁদাবাজ , সন্ত্রাস ও দখলবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে আমরা কাজ করব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী এই শিক্ষাবীদ সোনারগাঁ আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল। একই সঙ্গে তিনি সোনারগাঁ উন্নয়ন ফোরাম, ইকরা ইসলামিক পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদ, এবং সোনারগাঁ ইশাখাঁ ফাউন্ডেশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।

মাঠে প্রচারণা ও জনসংযোগ,
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, বাজার ও গ্রামে গণসংযোগ করছেন। স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর প্রচারণায় “সুশাসন” ও “পরিবর্তন”-এর বার্তা প্রধান হয়ে উঠেছে।

সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা শরীফ হোসেন বলেন, তিনি শিক্ষিত মানুষ, এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চান। তাঁর কথাবার্তায় নম্রতা ও সততা আছে-এটাই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া ভালো মানুষ হলেও জামায়তে ইসলামীর রাজনীতি জনগণ এখনই গ্রহণ করবেন না।

স্থানীয় পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামায়াতে ইসলামীর সুশৃঙ্খল সাংগঠনিক কাঠামো, দলীয় সুনাম ও শিক্ষাবিদ হিসেবে ড. ইকবালের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি-এই উপাদান গুলি তাঁর পক্ষে ব্যাপক কাজ করছে। গোপন ব্যালট বিপ্লবের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। ভোটার উপস্থিতি, নিরাপদ পরিস্থিতি ও বিএনপির অপকর্ম ইস্যু নির্বাচনের ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।

সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়ার উত্থান এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। শিক্ষিত, শান্ত স্বভাবের এই প্রার্থী যদি তাঁর বার্তা ভোটারদের কাছে স্পষ্টভাবে পৌঁছে দিতে পারেন, তবে সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন এক অধ্যায় যুক্ত হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলির মতো এখানেও ভূমিধ্বস বিজয়ের সম্ভাবনা আছে দাঁড়িপাল্লায় জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়ার।