
সকালবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ ফরিদগঞ্জের ফকির বাজার এলাকার ঘনিয়া বুড়ির বাড়িতে ছোট ভাই আওয়ামিলীগের নেতা শহিদ উল্যাহ মাষ্টার এর বিরুদ্ধে বড় ভাইয়ের বসতঘরের একাংশ দখল করে রান্নাঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২রা ডিসেম্বর) বড় ভাই মো. আব্দুল লতিফ সংবাদকর্মীদের কাছে তার আপন ছোট ভাই শহিদুল্লাহ মাস্টারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।
তিনি জানান, ঘনিয়া বুড়ির বাড়ির মৃত আব্দুল হালিমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তিন ছেলে মধ্যে বড় ছেলে আব্দুল লতিফ ফকির বাজার এলাকায়, মেঝো ছেলে আমিন উল্যাহ্ ঢাকায় ও ছোট ছেলে শহিদুল্লাহ মাস্টার নিজ বাড়িতে এবং দুই মেয়ে অহিদা বেগম ও ফাতেমা বেগম তাদের স্বামীর বাড়িতে থাকেন।
আব্দুল লফিত জানান, তার দুই ছেলে শরিফ ও আরিফ ফকির বাজার এলাকায় সম্পত্তি ক্রয় করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেন। বিগত আওয়ামিলীগের শাসন আমলে নিজের পত্রিক সম্পত্তিতে ঘর নির্মান করতে দেয় নাই তার ছোট ভাই আওয়ামিলীগ নেতা শহিদ উল্যাহ্। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নানা ভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেছেন তাদের। আব্দুল লতিফ কান্নাকন্ঠে উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের জানান সংসারের সকল সম্পত্তি ক্রয় করার টাকা আমার বাবাকে প্রবাস থেকে দিয়েছি, তারা আমাকেই নিজের বসত ঘর করতে দেয় নাই। পরবর্তীতে আমার ছেলেরা অন্য জায়গায় জমি কিনে ঘর নির্মান করে।
তিনি আরও জানান ছেলেরা প্রবাসে থাকায় এবং তিনি ও তার স্ত্রী পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে বাজারস্থ বাড়িতেই থাকেন। এই সুযোগে ছোট ভাই শহিদুল্লাহ মাস্টার জোরপূর্বক বাড়ির তার বসতঘরের একাংশ দখল করে নেন। যার কারণে ওই ঘরের সামনের দরজা দিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমি বয়স্ক মানুষ, ছেলেরা বিদেশে থাকে। আমার ছোট ভাই শহিদুল্লাহ মাস্টার আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। গত ১৭ বছর সে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। আমার বড়ছেলে প্রবাস থেকে ২০২৪ সালের মে মাসে ছুটিতে আসলে আমার ছোট ভাই আওয়ামীলিগ নেতা শহিদ উল্যাহ্ মাষ্টার আমার ছেলেকে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটায়। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১বছর ভালোই ছিলাম। কিন্তু এখন আবার সে আমার জায়গা-সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল’সহ বিভিন্নভাবে আমাদেরকে হয়রানি ও নির্যাতন শুরু করেছে।
সরেজমিনে আরও জানা যায় আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর শহিদ উল্যাহ মাষ্টার দুর্নীতি ও অনিয়মের কারনে প্রাইমারী স্কুলের চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিল।
অভিযোগ অস্বীকার করে শহিদুল্লাহ মাস্টার বলেন, আমার মেঝো ভাই ঢাকায় থাকেন। তিনি বাড়ি-ঘরে আসেন না। তাই তিনি বলেছেন, তার সম্পত্তি যেন আমরা দুই ভাই ভোগ-দখল করি। যেখানে রান্নাঘর নির্মাণ করেছি, ওই সম্পত্তি আমার ভাগে পড়েছে। তারপরও আমি বড় ভাইকে বলেছি আপনি সালিশি বৈঠকে বসেন, আমি সমাধানের পক্ষে আছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আব্দুল লতিফের বসতঘরের একাংশ দখল করে তার ছোটভাই ওই বসতঘরের সামনেই রান্নাঘর নির্মাণ করেছেন। এতে বসতঘরের সামনে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এসময় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে বাড়ির একাধিক লোকজন সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলেন। তারা অনুরোধ করে জানান, সংবাদকর্মীদের উদ্যোগে যেন সম্পত্তিগত বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হয়।
প্রতিবেদকের নাম 













