মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের ২ বছর।

মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের ২ বছর।

নাহিদ( নারায়ণগঞ্জ)

নিরাময় অযোগ্য এবং জীবন সীমিতকারী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের ভোগান্তী কমাতে এবং কঠিন সংকট্ময় মুহূর্তে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে দুই বছর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (NCC), ইউকে এইড (UK AID), ওয়াল্ড ওয়াইড হসপিস এন্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার এলায়েন্স (WHPCA) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (BSMMU)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘মমতাময় নারায়ণঞ্জ’ নামে একটি প্রকল্প কার্যক্রম শুরু হয়।

সম্প্রতি মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের ২ বছর পূর্ন হল। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২৭২ জন (মহিলা ১৫৮, পুরুষ ১১৪) রোগী সেবা গ্রহন করেছেন। প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রকল্প হতে ১৬ টি স্কুলে ও কলেজে প্রায় ১৪৭৩ জন (ছাত্রী ৯৯১, ছাত্র ৪৮২০) ছাত্র-ছাত্রীকে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক এক ঘন্টা ব্যাপি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়াও ৯ টি ব্যাচে সর্বমোট ২০৬ জন (মহিলা ১৩৫, পুরুষ ৭১) স্বেচ্ছাসেবকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, যারা রোগীর সেবায় বড় ভুমিকা রখবে।

রোগীর সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডাক্তার ও নার্সদের উদ্দ্যশ্য তিন দিনের ৪৩ জন (ডাক্তার ৮, নার্স ৩৫) জন ডাক্তার ও নার্সকে নারায়ণগঞ্জের দুটি হাসপাতালে (৩০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল) প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং ডাক্তার ও নার্সদের উদ্দ্যশ্য এক দিনের তিনটি প্রশক্ষনে ৬৩ (ডাক্তার ২৬, নার্স ৩৭) জনপ্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

মমতাময় নারয়ণগঞ্জ প্রকল্পের সেবা সমূহ: প্রতি শনিবার প্যালিয়েটিভ বর্হি:বিভাগ, বাসায়গিয়ে শয্যাশায়ী রোগীকে সেবা প্রদান, রোগীর পরিবারকে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান ও সচেতন করে তোলা, গরীব, অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় তালিকাভুক্ত ঔষধ প্রদান এবং ডাক্তার, নার্স ও আগ্রহী ভলান্টিয়ারদের বিনামূল্যে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান।

করোনাভাইরাসে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপদে পড়েছে নিম্ন আয়ের গরীব অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ। তাই সবার মতই প্রকল্পটি সক্রিয় উদ্যেগ গ্রহণ করে মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের পক্ষ থেকে ২৫০ জন প্যালিয়েটিভ কেয়ার রোগী এবং গরীব অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে জরুরী খাবার, করোনা প্রতিরোধক জিনিসপত্র এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

পৃথিবীতে বর্তমানে ৬৭ ভাগ নন কমিউনিকেবল ডিজিজ বিস্তার লাভ করেছে, এ ধরনের নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত মানুষ ও তাদের পরিবারে সেবা সর্ম্পকে বিজ্ঞান সম্মত সার্বিক সেবার নামই প্যালিয়েটিভ কেয়ার। নির্দিষ্ঠভাবে রোগ নিরাময়ের কোন চিকিৎসা না থাকলেও কষ্ট বা ভোগান্তি কমানোর অনেক উপায় আছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: Content is protected !!